স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠিতে সাবেক পুত্রবধূর লাঠির আঘাতে শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাশুড়ি মাজেদা বেগমের (৬৫) মৃত্যু হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঝালকাঠি সদর হাসপতাল মর্গে মৃতদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, ঝালকাঠি সদর উপজেলার দক্ষিণ পিপলিতা গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে ১৭ বছর আগে শহরের সিটিপার্ক এলাকার আব্দুস ছত্তার হোসেনের মেয়ে নাজমিন আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধের কারণে ১১ মার্চ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে নাজমিন আক্তার ও তাঁর আত্নীয় -স্বজন মাহফুজ ও তাঁর পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। পরের দিন দুপুরে নাজমিন আক্তার, তাঁর ভাই সোহাগ হোসেন, বোন নাছিমা বেগম ও মাকসুদা বেগম লোকজন নিয়ে মাহফুজের বাড়িতে যায়। তারা অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে। মাহফুজের মা মাজেদা বেগম ঘর থেকে বের হয়ে তাদের থামতে বলেন। এতে উত্তেজিত হয়ে সাবেক পুত্রবধূ শাশুড়ি মাজেদা বেগমের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। পুত্রবধূর সহযোগিরাও তাকে এলোপাথারি মারধর করেন। মাকে বাঁচাতে এসে সাবেক স্ত্রী ও তাঁর স্বজনদের লাঠিসোটার আঘাতে আহত হন মাহফুজুর রহমান। গুরুতর অবস্থায় মাজেদা বেগমকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে সোমবার বিকেলে মাজেদা বেগমের মৃত্যু হয়।
নিহতের ছেলে মাসুদুর রহমান বলেন, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ১৬ মার্চ আমি বাদী হয়ে আমার ভাইয়ের সাবেক স্ত্রীসহ ছয় জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করেছিলাম। এখন আমার মা মারা গেছেন, ময়না তদন্তও হয়েছে। মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছি। আমি মায়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশিকুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্ত শুরু করেছিলাম। ইতোমধ্যে আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এখন মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের জন্য ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আবেদন করতে হবে। আদালত অনুমতি দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।