স্টাফ রিপোর্টার :
পৌষের শেষে দখিণের জেলা ঝালকাঠিতেও তীব্র শীত পড়তে শুরু করেছে। কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্য্যরে দেখা মিলছে না। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় শ্রমজীবী মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে শীতকালীন সবজিসহ ফসলের ব্যপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। শীতে ভিড় বেড়েছে পোষাকের দোকানে। এছাড়াও শীতের পিঠার দোকানগুলোতে এসে মানুষ চুলোর গরম আচ নিচ্ছেন। অনেকে খরকুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। প্রচন্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে। গত দুই দিনে সদর হাসপাতালে শতাধিক সর্দি, কাশি ও বুকে ব্যাথা নিয়ে রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও ঠান্ডায় দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া জনিত রোগ। এ অবস্থায় গরম পোষাক পড়া ও ঠান্ডা বাসি খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঝালকাঠি শহরের চাঁদকাঠি এলাকার বাসিন্দা মো. আলম বলেন, প্রচন্ড শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। জরুরী কাজে একটু বের হয়েছি। বাইরে যে ঠান্ডা পড়ছে, তাতে এখনই বাসায় ঢুকতে হবে।
রিকশা চালক মো. সেলিম হাওলাদার বলেন, শীতে মানুষজন রাস্তায় বের হয় না। কোথাও যাত্রী পাই না। সারাদিনে ৫০ টাকা আয় করেছি। এ অবস্থায় সংসার চালানোই দায়।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এস এম জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এদের মধ্যে গুরুতর যারা, তাদের ভর্তি করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে দুই শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …