স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠিতে ২০০৫ সালে আলোচিত জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার ঘটনার দীর্ঘ সাড়ে ১৪ বছর পর দুইজনকে যাবজ্জাীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় (বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪ ধারায়) আরো ১০ বছরের কারাদ- প্রদান করা হয়। বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক শেখ. মো. তোফায়েল হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঝালকাঠির বিকনা গ্রামের মো. ইউনুস মল্লিকের ছেলে মো. জিয়াউর রহমান এবং বৈদারাপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে ফরিদ হোসেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর একটি মামলায় একই আদালত তাদের খালাস প্রদান করে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে পরপর পাঁচটি বোমার বিস্ফোরণে কেপে ওঠে ঝালকাঠি শহর। একই সময় বোমার বিস্ফোরণ ঘটে ঝালকাঠি জেলা জজ আদালত চত্বর, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, আইনজীবী সমিতি, সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর ও বিকনা টেম্পোস্ট্যান্ডে। এ ঘটনায় ঝালকাঠি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাব আলী বাদী হয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুইটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আহত অবস্থায় আটক ফরিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ দুইটি মামলাতেই আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন। জেএমবির সদস্য ঝালকাঠির বিকনা গ্রামের মো. জিয়াউর রহমান ও আহত অবস্থায় আটক রিকশা চালক ফরিদ হোসেনকে অভিযোগপত্রে আসামী করা হয়। ঘটনার দুই বছর পর অভিযুক্ত ফরিদ হোসেন আদালত থেকে জামিন লাভ করে। পরে অপর অভিযুক্ত জিয়াউর রহমানও জামিনে মুক্তি লাভ করে। যুক্তিতর্কের দিন আদালত তাদের জামিন বাতিল করে। মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহগণ করে রায় রায় ঘোষণা করা হয়। রাস্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আসম মোস্তাফিজুর রহমান মনু এবং আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন কবীর। ১৭ আগস্ট বোমা হামলার ঘটনার আড়াই মাস পর ১৪ নভেম্বর জেএমবির আতœঘাতী বোমা হামলায় ঝালকাঠির দুই বিচারক সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ে নিহত হন। এ মামলায় ঝালকাঠির আদালতেই জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমানসহ ৭ শীর্ষ জঙ্গির ফাসির আদেশ হয়। ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দেশের বিভিন্ন কারাগারে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। এর প্রতিশোধ নিতে জেএমবি ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল মামলা পরিচালনাকারী তৎকালীন পিপি হায়দার হুসাইনকে গুলি করে হত্যা করে। রায় ঘোষণা উপলক্ষে আদালত চত্বর ও এর আশপাশে নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আসম মোস্তাফিজুর রহমান মনু বলেন, সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ দুটি মামলা দায়ের করে। একটি মামলায় আসামীদের বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩ ধারায় যাবজ্জীবন এবং ৪ ধারা ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে। অপর মামলাটিতে আসামীদের খালাস দেওয়া হয়।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …