কে এম সবুজ :
করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আছেন শিশুসহ স্বামী-স্ত্রী। শেষ হয়ে যাচ্ছিল তাদের খাদ্যসামগ্রী। খবর পেয়ে বাড়িতেই খাদ্যসামগ্রী পৌছানো হয়। শুধু ওই বাড়িতেই নয়, আশেপাশে লকডাউনে আটকে পড়া আরো ১৫টি পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। এছাড়াও করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়িতে প্রতিদিন খাদ্যসামগ্রী পৌছানো হচ্ছে। এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ও ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর নির্দেশে তিনি সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এছাড়াও রাস্তায় রাস্তায় সচেতনতামূলক লেখা, দোকানের সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গোল বৃত্তাকার আঁকা, চিকিৎসকদের পিপিই, হাট-বাজারে আসা লোকজনের শরীরের তাপমাত্রা মাপা ও শহর থেকে গ্রামে জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটিয়ে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে খান আরিফুর রহমান। এমনকি তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সদরের জন্য দুইটি অ্যাম্বুলেন্স চালু করেছেন। প্রতিদিন বিনামূল্যে এ অ্যাম্বুলেন্সে রোগীদের চিকিসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের খাদ্যসামগ্রী নিশ্চিত করতে তিনি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছেন। তাঁর এসব কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মঈন তালুকদার ও ইসরাত জাহান সোনালী।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিন্নাপাড়া গ্রামের দুলাল সর্দার বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আমরা খুবই খুশি। তিনি আমাদের মতো গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আল্লাহ তাকে আরো ভালো রাখবেন।
একই গ্রামের আবদুস সবুর বলেন, আমরা খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে ছিলাম। উপজেলা চেয়ারম্যানের খাদ্যসামগ্রী পেয়েছি। এতেই খুশি আমরা।
শহরের ব্যবসায়ী স্বপন বণিক বলেন, আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকানের মালামাল বিক্রি করি। সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমানের উদ্যোগে দোকানের সামনে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে গোল বৃত্তাকার এঁকে দেওয়া হয়েছে।
শহরের খলিলুর রহমান বলেন, আমার এক আতœীয় অসুস্থ হয়ে পড়লে, উপজেলা চেয়ারম্যানের অ্যাম্বুলেন্সে করে দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাম্বুলেন্স থাকার কারণে আমার সেই আতœীয় প্রাণে বেঁচে গেছেন।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান মানুষের কথা চিন্তা করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা খাদ্যসামগ্রী মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌছে দিয়েছি। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে একটি পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় সব রকমের পণ্য ছিলো।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান বলেন, আমাদের নেতা আমির হোসেন আমুর পরামর্শ নিয়ে আমি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। শুধু দরিদ্র মানুষই নয়, মধ্যবিত্তদেরও খাদ্যসামগ্রী দিয়েছি। এ থেকে বাদ যায়নি করোনা আক্রান্ত পরিবার ও বেদে সম্প্রদায়। যারা কারো কাছে গিয়ে কিছু চাইতে পারেনি, তাদের বাড়িতেও খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেওয়া হয়েছে। যতদিন করোনা পরিস্থিতি থাকবে আমি সদর উপজেলার সব মানুষের পাশে আছি এবং থাকবো। আমার সহযোগিতা সবসময় থাকবে।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …