Latest News
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / জিয়াউর রহমানই প্রথম গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া হত্যা করেছিলেন : আমু

জিয়াউর রহমানই প্রথম গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া হত্যা করেছিলেন : আমু

স্টাফ রিপোর্টার :
জিয়াউর রহমান কারফিউর মধ্য দিয়ে ছয় বছর দেশ চালিয়ে গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া হত্যা করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, যারা আজকে বড় বড় কথা বলেন, এই দেশের গণতন্ত্র হত্যা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া হত্যা জিয়াউর রহমান প্রথম শুরু করেছিলেন। ‘এক হোন্ডা, দুই গুন্ডা, এক স্টেনগান’ দিয়ে জিয়াউর রহমান প্রথমে হা-না ভোট, রাষ্ট্রপতি ভোট, পরে সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করেন। এরই মাধ্যমে তিনি দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ও মানুষের ভোটের অধিকার ধংস করেছিলেন। আমির হোসেন আমু শনিবার বিকেলে ঝালকাঠিতে বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শহরের রোনালসে সড়কে জেলা আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।
সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল, বাংলাদেশ নয় মন্তব্য করে ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, চারটি মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে সবিধান থেকে চার মূলনীতি ছুড়ে ফেলে দেওয়া হলো। বাংলাদেশের সংবিধানে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোন কথা ছিল না। কারন আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে সাম্প্রদায়িকতা মানবতার শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। সাম্প্রদায়িকতা উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করে।
স্বাধনীনতা বিরোধী অপশক্তি এখনো সক্রিয় রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা আমু বলেন, বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তানে পরিবর্তন করার জন্য স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। সেই অপশক্তি এখনো সক্রীয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন-অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তা তারা মেনে নিতে না পারায় নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রশিদ হাওলাদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরুন কর্মকার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন, যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম জাকির, কামাল শরীফ, হাফিজ আল মাহমুদ ও সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন।