Latest News
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে নলছিটিতে যুবলীগকর্মীর হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে নলছিটিতে যুবলীগকর্মীর হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন

স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠির নলছিটিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগকর্মী আসাদুজ্জামান খান পলাশের একটি হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। রবিবার রাতে উপজেলার আমতলী গ্রামের সরকারি বাড়ির মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাতেই ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত পলাশ মোল্লারহাট ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এসকেন্দার আলী খানের ছেলে।
জানা যায়, মোল্লারহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা ও যুগ্ম সম্পাদক ইউপি সদস্য আক্কাস আলী সরদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হামলা সংঘর্ষ হয়। দলীয় কর্মসূচিও তারা আলাদাভাবে পালন করে। ২০১৬ সালের ২৯ জানুয়ারি মোল্লারহাট চৌরাঙ্গি বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক সোহেল রানাকে কুপিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় আক্কাস আলী সরদারের লোকজন। এ ঘটনার পরে ২০২০ সালের ৯ জুন রাতে আক্কাস আলী সরদারকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করে সোহেল রানার লোকজন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় উভয়ে মধ্যে ধাওয়া ধাওয়ির ঘটনা ঘটে। এ বিরোধ নিয়ে একাধিক মামলাও রয়েছে উভয় পক্ষের মধ্যে।
মোল্লারহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা জানান, তিনি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মোল্লারহাট ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চাচ্ছেন। তাঁর বড় বোন হেপী আক্তারের মৃত্যু হলে রবিবার রাতে গ্রামের বাড়ির উঠানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় তাঁর চাচাতো চাচা আসাদুজ্জামান খান পলাশ। জানাজা শেষে মোটরসাইকেলযোগে নলছিটি শহরের বাইপাস সড়কের বাসায় ফেরার পথে আমতলী গ্রামের সরকার বাড়ির মোড়ে আসলে প্রতিপক্ষ আক্কাস আলী সরদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জন হামলা চালায়। তারা কুপিয়ে পলাশের বাম হাতের একটি কবজি বিচ্ছিন্ন ও ডান পায়ের রগ কেটে দেয়। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে তাকে জখম করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাতেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাস আলী সরদার বলেন, রাতে কে বা কারা পলাশকে মেরেছে, তা আমাদের জানা নেই। আমি নিজেই অসুস্থ, আমাকে কুপিয়ে তারা হত্যা করতে চেয়েছিল। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
নলছিটি থানার ভারপ্রাÍ কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য মোল্লারহাট বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ

বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …