স্টাফ রিপোর্টার :
দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের দুঃসময়ে ঝালকাঠি সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় কিছু দুস্কৃতিকারী সাংবাদিক পরিচয়ে মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদাদাবি ও চাঁদা আদায়ের মত ঘৃণ অমানবিক কাজ করছে এবং নানাভাবে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হয়রানি করছে। যারা এ জঘন্য অপরাধ করছে তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছে কাঁঠালিয়া ও রাজাপুর প্রেস ক্লাব। এ দাবির সঙ্গে একাত্নতা প্রকাশ করেছে রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি।
সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলাদা বিবৃতিতে জানান, দেশের মানুষ যখন করোনাভাইরাসের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে কাজ করছে, প্রকৃত সাংবাদিকরা যখন করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য প্রশাসনের সাথে কাজ করছে, ঠিক তখন কিছু জঘণ্য প্রকৃতির মানুষ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কখনও মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে দিয়ে বিদেশ ফেরত মানুষদের বাড়ি বাড়ি, এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ইটভাটায় গিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে যা অত্যন্ত লজ্জাজনক । এসব অপসাংবাদিদের কর্মকান্ডে আমরা লজ্জিত। তাই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বভাবিক হলে এসব অপসাংবাদিকদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তালিকা প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়া হবে এবং ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে যে কর্মসূচি গ্রহণ করবে, কাঠালিয়া প্রেস ক্লাব তার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করবে। বিবৃতি প্রদান করেন কাঁঠালিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সিকদার মো. কাজল ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাসউদুল আলম, রাজাপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হোসেন খান।
এদিকে রাজাপুর রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি মো. মঈনুল হক লিপু ও সাধারণ সম্পাদক অহিদ সাইফুল এক বিবৃতিতে অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং চাদাবাজ অপসাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
উল্লেখ্য দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে গত ২৯ মার্চ ঝালকাঠির বিভিন্ন ইটভাটায়, ২৭ ও ৩০ মার্চ কাটপট্টির একটি মুরগীর দোকানে এবং মার্চ মাসের বিভিন্ন তারিখে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চাঁদাদাবি করা কথিত সাংবাদিক পরিচয়ধারি বশির খলিফা, রহুল আমিন রুবেল, রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু গংদের গ্রেফতারের দাবি জানায় ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব। গত ২৭ ও ৩০ মার্চ কাটপট্টি মুরগীর দোকানে চাঁদাদাবির ঘটনায় ৩১ মার্চ দোকানের মালিক মো. কামাল হোসেন বাদি হয়ে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামী করা হয় বশির খলিফা, রুহুল আমিন রুবেল ও রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চ নামের তিনজনকে। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীরা পলাতক থাকলেও তাদের আরও দুচারজন সহযোগ সাধারণ মানুষকে হয়রানী করার জন্য ওৎ পেতে রয়েছে। ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব এদের তালিকা তৈরি করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঝালকাঠি-২ আসনের সংস সদস্য আমির হোসেন আমু, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করবে। কাঁঠালিয়া প্রেস ক্লাব, নলছিটি প্রেস ক্লাব, রাজাপুর প্রেস ক্লাব ও রাজাপুর রিপোটার্স ইউনিটি অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ কার্যক্রমে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করলো।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
নলছিটিতে শ্রমিক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটিতে শ্রমিক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে পৌরসভা চত্বরে এ …