স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠিতে চলছে অঘোষিত লকডাউন। শহরের রাস্তাঘাটে পুলিশ বেরিকেট দিলেও থেমে নেই মানুষের যাতায়াত। বাজার করার অজুহাতে অনেকেই বের হচ্ছেন রাস্তাঘাটে। কারণে অকারণে বাড়ছে মানুষের জটলা। বিশেষ করে শহরের কয়েকটি বাজারে গামিলিয়ে এক সঙ্গে অনেকজন কেনাকাটা করছেন। এ পরিস্থিতি করোনা সংত্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। শুধু শহরজুড়েই নয়, জেলার অন্য তিনটি উপজেলাতেও একই চিত্র দেখা গেছে। বাজারগুলোকে একটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন জেলার বাসিন্দারা। এক্ষেতে খোলা মাঠ বা স্টেডিয়ামকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন সচেতন ব্যক্তিরা।
জানা যায়, ঝালকাঠি শহরের মধ্যে দুটি বড় বাজার রয়েছে। এর মধ্যে একটি কালিবাড়ি সড়কে বড়বাজার নামে পরিচিতি, অন্যটি সদর হাসপাতালের কাছে চাঁদকাঠি বাজার। এছাড়ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে বসেছে বাজার। এদিকে নলছিটি শহরে রয়েছে পুরাতন বাজার, রাজাপুরে বাঘড়ি বাজার ও কাঁঠালিয়ায় পাইলট স্কুলের সামনে রয়েছে বাজার। এসব বাজারে মাছ, মাংস, কাঁচামালসহ সবধরণের নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের ভির লেগেই থাকে বাজারে। অনেকে রাস্তায় বের হওয়ার জন্য হাতে একটি বাজারের ব্যাগ নিয়ে আসে। আসলে ওইসব লোকজন বাজারে না গিয়ে বিভিন্ন স্থানে আড্ডা দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ে তারা বাজারের ব্যাগ নিয়ে বের হচ্ছেন বলে জানা গেছে। অন্তত পক্ষে জেলার পাঁচটি বাজারকে বন্ধ করে আলাদা স্থানে নেওয়া হলে সামাজিক দূরত্ব বাজায় রেখে মানুষ কেনাকাটা করতে পারবেন বলে অভিমত দিয়েছেন সচেতন ব্যক্তিরা।
শহরের একটি ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান মাইনেটের পরিচালক আসিফ ইকবাল বলেন, শহরের মধ্যে একসঙ্গে জড়ো হয়ে এখনো মানুষ বাজার করছে। প্রতিদিন বাজারগুলোতে মানুষের ঢল নামে। নারী-পুরুষ সবাই মিলে কেনাকাটা করছে বাজারে। এখন সময় এসেছে বাজারগুলোকে নির্দিষ্ট একটি খোলা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। আমাদের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম রয়েছে। বিশাল মাঠ, সেখানে কয়েক হাজার দোকান বসানো সম্ভব।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিল বলেন, আজকেও বাজারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় অসংখ্য মানুষকে কেনাকাটা করতে দেখেছি। এসব বাজার এখন বন্ধ ঘোষণা করা উচিত। প্রয়োজনে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অস্থায়ী বাজার স্থাপন করা যায়।
ঝালকাঠির বড় বাজার কমিটির সভাপতি আবদুল আজিজ বলেন, নির্দেশনা পেলে আমরা বাজার বন্ধ করে দিবো। এনিয়ে আমাদের কোন আপত্তি নেই।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন বলেন, আমরা চাচ্ছি বাজারগুলোকে ভাগ দেওয়ার জন্য। প্রয়োজনে একটি খোলা জায়গায় স্থানান্তর করতে। আমাদের স্টেডিয়াম রয়েছে, সেখানে আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দিবো। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে জেলা প্রশাসনের। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, আমরা বাজারগুলোকে খোলা স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে বলেছি। তারা সিদ্ধান্ত নিবে কোথায় অস্থায়ী বাজার বসবে, তবে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে নলছিটিতে ৯০০০ জনকে এইচপিভি টিকা দেয়া হবে
স্টাফ রিপোর্টার : স্কুলগামী অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভুত কিশোরীদের জরায়ু মুখ ক্যন্সার প্রতিরোধে ঝালকাঠি জেলায় ৯ …