স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠিতে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি ও জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সহিদ খানের জমি দখল করে বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে জুলফিকার আলী খান মাসুক নামে বিচারকের বিরুদ্ধে। তিনি জামালপুরের জেলা ও দায়রা জজ এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে দখলে নেওয়া জমিতে জোর করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করছেন। শনিবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত সাংস্কৃতিককর্মী গোলাম সহিদ খান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় আবৃতি পরিষদ ঝালকাঠি শাখার আহবায়ক উম্মে সালমা, কিশোর থিয়েটারের পরিচালক লাম আলিফ খান, কবি কামিনি রায়-জীবনানন্দ দাস স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি আ.ফ.ম আজিম তালুকদার, জাতীয় রবীন্দ্র সংঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান গোলাম সহিদ খান।
তিনি অভিযোগ করেন, পোনাবালিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মৃত শওকত আলী খানের ছেলে জামালপুরে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খান মাসুখ বিভিন্ন সময় ২২৬ ও ২২৭ নম্বর বিএস দাগের ৪ শতাংশ জমি অনেক আগেই দখল করে নিয়েছেন। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি ২২৭ নম্বর দাগ থেকে নতুন করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে ৬ শতাংশ জমি দখল করে নেন। এর প্রতিবাদ করলে ভাড়া করা মাস্তান ও আত্মীয়-স্বজনদের দিয়ে হুমকি দিচ্ছেন ওই বিচারক। বাড়ি, কবরস্থান ও চলার পথ থেকে ১০ শতাংশ ছাড়াও ধানের জমি থেকে ১৮১/১৮২/১৮৩ ও ১৩৮ নম্বর খতিয়ানের প্রায় ৫ একর দখল করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিচারক মাসুখের বিরুদ্ধে। এর বাইরেও তিনি সরকারের এক নম্বর খতিয়ানভুক্ত ১৯২ দাগের ৬০ একর জমি দখল করেছেন।
গোলাম সহিদ খান বলেন, স্থানীয় জালাল মাঝি নামের চিহ্নিত এক মাদক ব্যাবসায়ীকে দিয়ে আমিসহ চার জনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। সেই মামলায় ৭ বছর আইনি লড়াই করে আমরা মামলা থেকে মুক্তি পাই। তিনি জেলা ও দায়রা জজ হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের বিভিন্ন সময় আমাদের জমি দখল করে আসছেন। পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসির কাছে গিয়েও এ ব্যপারে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এমনকি ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় মামলা করার পরেও সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জুলফিকার আলী মাসুখ।
এ ব্যাপারে জামালপুর জেরা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খান মাসুখ মুঠো ফোনে বলেন, যে জমিতে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে, সেটা নিয়ে কোন বিরোধ নেই। অন্যের জমির বিরোধ নিস্পত্তিতে আমি সমাধান করে দিয়েছি। তাই একটি পক্ষ আমাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ উঠিয়েছে।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীজ রোপণ করেছিল বিএনপি : যুবদল সভাপতি
স্টাফ রিপোর্টার : যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের …