স্টাফ রিপোর্টার :
কখনো বাড়িতে গিয়ে, কখনো আবার নিজের বাসায় ডেকে এনে কর্মহীন মানুষকে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন ঝালকাঠির তিন আওয়ামী লীগনেতা। মোটরসাইকেলে করে শহরঘুরে দরিদ্র মানুষকে খুঁজে বের করছেন তাঁরা। খাবার না থাকলেই নিয়ে যাচ্ছেন দোকানে। সেখান থেকে সাধ্যমতো চাল, ডাল ও আলু কিনে দিচ্ছেন তাঁরা। দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো এই ব্যক্তি হলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক তরুন কর্মকার, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিল ও জেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক রেজাউল কমির জাকির। এই তিনজের মধ্যে তরুন ও জাকির পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর। হাবিবুর রহমান হাবিলসহ তিনজনই সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত। করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সরকারের কঠোর নির্দেশনা মেনে চলায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন তাঁরা। গত ২৬ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার পরিবারকে তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে চাল, ডাল, আলু, লবন ও সাবান দিয়েছেন। দরিদ্র এসব মানুষদের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে তাঁরা সরকারের নির্দেশ মেনে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের বিভিন্নস্থানে ঘুরে তরুন, হাবিল ও জাকিরের ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চোখে পড়ে। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তরুন কর্মকার বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ৫০০ মানুষকে সহায়তা দিয়েছি। অনেক মানুষ আছে, যারা কারো কাছে চাইতে পারে না; আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিল বলেন, মানুষের কল্যাণে কাজ করতে না পারলে কোন সার্থকতা নেই, তাই গরিব মানুষের বাসায় গিয়ে তাদের হাতে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছি। আবার কাউকে রাস্তায় দেখলে ডেকে এনে বাসায় নিয়ে খাবার দিচ্ছি।
জেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির বলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি মহোদয়ের পরামর্শে আমি ব্যক্তিগতভাবে ৭০০ মানুষকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছি। প্রতিদিনই এ কার্যক্রম চলছে। যারা এসময় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তাদের পাশে সবাইকে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
ইয়াবা গিলে ফেলেও রক্ষা পেলো না মাদক কারবারি
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠিতে যৌথবাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযানের বিষয় টের পেয়ে তুহিন হাওলাদার (৩৮) নামে …